ফুটবল খেলা ঘিরে উন্মাদনা , মাঠে ভীড় উৎসাহী দর্শকদের

18th November 2020 7:46 pm বাঁকুড়া
ফুটবল খেলা ঘিরে উন্মাদনা , মাঠে ভীড় উৎসাহী দর্শকদের


দেবব্রত মন্ডল ( বাঁকুড়া ) :  ক্রীড়া প্রেমী বাঙালিরা এতদিন মেতেছিলেন আইপিএল-এ,  এরপর মেতে উঠবেন বাঙালির প্রিয় খেলা ফুটবলে কারণ আগামী ২০ নভেম্বর শুরু হচ্ছে বাঙালির প্রিয় খেলা ফুটবল আর তারই আগে বাঁকুড়ার পাত্রসায়র ব্লক এলাকার তালসাগ্রা গ্রামে হয়ে গেল একদিবসীয় স্মৃতি ফুটবল প্রতিযোগিতা। এই প্রতিযোগীতায় বাঁকুড়া ও বর্ধমান জেলার মোট চারটি দল অংশগ্রহণ করে । এই চারটি দলের খেলোয়াড়ের সদস্য দেশের বাইরে নাইজেরিয়া থেকেও কয়েকজন তালসাগ্রা গ্রামে খেলাতে অংশ নিতে এসেছিলেন ।  তালসাগ্রা মহাপ্রভু সংঘের পরিচালনায় গ্রামের প্রয়াত শিক্ষক তথা সমাজসেবী দুর্গা আনন্দ চক্রবর্তীর স্মৃতির উদ্দেশ্যে সম্পূর্ণ খেলাটি হয় ।

তালসাগ্রা গ্রামের এই খেলা কে ঘিরে গ্রামবাসী থেকে শুরু করে আশেপাশের গ্রামের মানুষদের মধ্যে ব্যাপক উত্তেজনা ছিলো। বহু দূর দূরান্ত থেকে তালসাগ্রা গ্রামের ফুটবল প্রতিযোগিতা দেখতে আসেন বহু ফুটবলপ্রেমী দর্শক । চূড়ান্ত পর্যায়ের খেলাটি অনুষ্ঠিত হয় বাঁকুড়া জেলার সাথে বর্ধমান জেলার বাঁকুড়া জেলার বড়গড়িয়া কালীমাতা ক্লাবের সাথে বর্ধমান জেলার দুর্গাপুর সমাজ কল্যাণ সমিতির । ফাইন্যালে বড়গড়িয়া কালী মাতা ক্লাব ১-০  গোলে দুর্গাপুর সমাজ কল্যাণ সমিতিকে হারিয়ে জয়লাভ করে । ক্লাবের সদস্য কৌস্তভ ব্যানার্জি ও বাবলু রায় জানিয়েছেন, আজকের খেলায় ম্যান অফ দ্যা টুর্নামেন্টের শিরোপা ছিনিয়ে নেয় বড়গড়িয়া কালী মাতা ক্লাবের সঞ্জয় । ফাইনালে ম্যান অফ দ্যা ম্যাচ নির্বাচিত হয় বড়গড়িয়া কালী মাতা ক্লাবের গোপাল দাস ।





Others News

মল্লরাজ ভূমিতে তোপধ্বনিতে অষ্টমীর সন্ধিক্ষণ : পুজো ঘিরে উন্মাদনা

মল্লরাজ ভূমিতে তোপধ্বনিতে অষ্টমীর সন্ধিক্ষণ : পুজো ঘিরে উন্মাদনা


দেবব্রত মন্ডল ( বাঁকুড়া ) : তোপধ্বনি তে কেঁপে উঠল বিষ্ণুপুর । শুরু হল মল্ল রাজাদের ১০২৫ বছরের অষ্টমী পূজোর সন্ধিক্ষণ।

প্রাচীণ ঐতিহ্য ও পরম্পরা মেনে আজও নিষ্ঠাভরে বিষ্ণুপুর রাজ বাড়িতে দেবী দুর্গা 'মৃন্ময়ী নামে পূজিতা হন। জানা গিয়েছে, পূর্ব প্রথা মতোই প্রাচীণ রীতি মেনে মহাষ্টমীর সন্ধিক্ষণে কামান দাগার মধ্য দিয়ে বিষ্ণুপুর রাজ বাড়িতে শুরু হয়ে গেল 'বড় ঠাকরুনে'র পুজো। তবে এবার করোনা পরিস্থিতির মধ্যেও দর্শক সাধারণের উপস্থিতি ছিল বাঁধভাঙ্গা। সরকারী নিয়মকে মান্যতা দিয়ে স্বাস্থ্যবিধি মেনে শুরু হয়েছে দেবী বন্দনা। এমনকি এখানে কামান দাগার পর্বেও অন্যান্য বছরের তুলনায় এ বছরে অল্প সংখ্যক লোককে নিয়ে ঐ কাজ সম্পূর্ণ করা হয়েছে।

শুরুর সময় থেকে অষ্টমীর সন্ধিক্ষণ ঘোষণা করা হয় বড় কামানের গর্জনের শব্দে। যার আওয়াজে রাজবাড়িতে আরতি নৃত্যও শুরু হয়ে যায়।